চত্বর ও এজলাসে আইনজীবীদের স্লোগান আর হট্টগোলের মধ্যেই শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিলকে জামিন দিয়েছে আদালত।
র্যাব সদস্যদের মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার মামলায় রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তার জামিনের আদেশ দেন।
১১ মার্চ ইব্রাহিম খলিলকে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। পরের দিন তাকে আদালতে নিলে বেশ কয়েকজন আইনজীবী তার জামিন আবেদন করেন।
আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে রোববার জামিন শুনানির তারিখ দেয় আদালত।
রোববার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন।
বিএনপিপন্থি আইনজীবী হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম খালিলের মুক্তির দাবিতে এ দিন আদালতে বিক্ষোভ করেন অনেক আইনজীবী। তারা এজলাস কক্ষে ও বাইরে মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
শুনানি শেষে আদালত ইব্রাহিম খলিলের জামিন দেয়।
জামিনের পর তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশ করেন আইনজীবীরা।
১২ মার্চ র্যাব-১০-এর উপপরিদর্শক এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় র্যাব সদস্যদের মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয় ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ইব্রাহিম খলিলের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর মারধর করেছে।
ইব্রাহিম খলিলের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
সাধারণ আইনজীবীরা রোববার সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা জজ কোর্টে তার মুক্তির দাবিতে মিছিল সমাবেশ করেন।
ইব্রাহিম খলিল সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারের সদস্য। তিনি ঢাকা বারের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন।