বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলা তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ১৮:২৫

ঢাকার মহানগর দায়রা বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্যাতন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে করা কিশোরের মামলা গ্রহণ করে এই আদালত।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্যাতন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে করা কিশোরের মামলা গ্রহণ করে এই আদালত।

গত ১০ মার্চ একই আদালতে কিশোর নিজেই এই মামলার আবেদন করেন।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছিল আদালত।

মামলায় ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল নিউজবাংলাকে জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তিনি মামলার আবেদনে অভিযোগ করেছেন।

তবে মামলার আবেদনে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

২০২০ সালের ৫ মে র‌্যাব-৩, সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মিনহাজসহ ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

এ ছাড়া আরও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন কিশোর।

এই মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে অভিযুক্ত করে এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে রমনা থানা পুলিশ।

যেখানে জুলকারনাইন খান ওরফে সামিসহ অন্য আটজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, নেত্র নিউজের সম্পাদক ও সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন শায়ের খান ওরফে সামি, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিটিটিসিকে নির্দেশ দেন।

এ মামলায় প্রায় ১০ মাস কারাগারে ছিলেন কিশোর। তার সঙ্গে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদ ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামীয় ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন।

আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন, শাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’-এর প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়।

আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর