বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন হতে পারে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ১২:১৮

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার একটা স্বপ্ন ছিল। এই বাংলাদেশকে তিনি প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আমাদের যে ভৌগলিক অবস্থানটা আছে, এ কারণে আমরা আসলে এয়াররুটের ভেতরে আছি। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিন্তু প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের একটা সেতুবন্ধন রচনা করতে পারে।’

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এয়াররুটের দিক থেকে বাংলাদেশ দারুণ একটি অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতে, বাংলাদেশ হতে পারে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন।

রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত দুটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতির পিতার একটা স্বপ্ন ছিল। এই বাংলাদেশকে তিনি প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আমাদের যে ভৌগলিক অবস্থানটা আছে, এ কারণে আমরা আসলে এয়াররুটের ভেতরে আছি। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিন্তু প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের একটা সেতুবন্ধন রচনা করতে পারে।

‘তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি, যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি করা, ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ আমাদের রয়েছে। সেই সুযোগগুলো কাজে লাগানো এটাও জাতির পিতার একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল।’

এভিয়েশন খাতের যতটুকু উন্নয়ন তার সবই আওয়ামী লীগ সরকার করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের বিমানগুলোর যে কী দুরাবস্থা ছিল, সেটা যদি আপনারা ৯৬ সালের আগের অবস্থাটা বিবেচনা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন। ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে আমরা চেষ্টা করি, এই বিমানবন্দর উন্নয়ন করা।

‘তখন বিমানবন্দরে কোনো বোর্ডিং ব্রিজ বা কোনো কিছুই কিন্তু ছিল না। যতটুকু উন্নতি আমরাই কিন্তু করে দিয়ে যাই। আমরা অবশ্য বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারিনি। আট বছর পর আবার সরকারে আসি। আসার পর থেকে আমরা আবার প্রচেষ্টা চালাই।’

বাংলাদেশ বিমান বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে, আর তাই একে আধুনিক করার সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

‘আমাদের উড়োজাহাজ শুধু আমাদেরতো না। এটা বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত। সারা বিশ্বে যখন যায়, বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। সেজন্য সব সময় আমাদের প্রচেষ্টা ছিল এই বিমান যেন খুব ভালোভাবে আমরা গড়তে পারি।’

বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সকে আধুনিক করে তুলতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ তার সরকার নিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ এ আমরা যখন সরকার গঠন করি, এরপর প্রায় ১২টি উড়োজাহাজ আমরা সংগ্রহ করে দিয়েছি এবং সব আধুনিক ও নতুন। কোনো ভাঙাচোরা, পুরানো না। সবই নতুন বিমান আমরা নিয়ে এসেছি।

‘আমাদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আধুনিক করার জন্য সব উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে করোনা এসে সব সুযোগ নষ্ট করে দেয়।’

শেখ হাসিনা জানান, ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত করে আওয়ামী লীগ সরকারই। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারে আসার পর বরিশাল, রাজশাহী, সৈয়দপুর বিমানবন্দর সবই প্রায় বন্ধই করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যা হোক, আমরা ২০০৯ এ সরকারে আসার পর সেগুলো আবার চালু করি। এখন আমরা সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নতি করছি। পাশাপাশি, কক্সবাজারে যে বিমানবন্দরটা সেটা আরও উন্নত মানের, আন্তর্জাতিক মানের করতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। সেটা আমরা সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর ইন্টারন্যাশনাল এয়াররুটে এই বিমানবন্দরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে এবং আর্থিকভাবেও বাংলাদেশ আরও উন্নত হতে পারবে।’

তিনটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ায় বেড়েছে বাংলাদেশ বিমানের কলেবর। ছবি: নিউজবাংলা

বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজের প্রথমটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর, দ্বিতীয়টি ২৪ ফেব্রুয়ারি ও তৃতীয়টি যুক্ত হয় ৫ মার্চ। প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজলোর নাম রাখেন ধ্রুবতারা, আকাশতরী ও শ্বেতবলাকা।

কানাডার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড বোম্বার্ডিয়ারের কাছ থেকে কেনা আধুনিক সুবিধার সমন্বয়ে তৈরি এ উড়োজাহাজগুলোতে রয়েছে ৭৪টি করে আসন। বিমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করা হবে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে।

এই তিনটি উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার পর বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হয়েছে ২১টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন, ছয়টি বোয়িং সেভেন এইট সেভেন, ছয়টি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ও চারটি ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ।

এ বিভাগের আরো খবর