বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু নির্যাতন: মাদ্রাসার সেই শিক্ষক স্থায়ী বহিষ্কার

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ১১:৩৭

গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, মায়ের পেছন থেকে টেনে এনে রুমে নিয়ে এক শিশুশিক্ষার্থীকে জুতা ও বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন ইয়াহইয়া। তিনি হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি নামে একটি হাফেজি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক। এই ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুললে নজরে আসে সর্বোচ্চ আদালতেরও।

মায়ের পিছু আসা এক শিশুশিক্ষার্থীকে ঘাড় ধরে একটি রুমে নিয়ে বেধড়ক প্রহার করা চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ইয়াহইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দীনের হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেয়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তাদের পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশু নির্যাতন করায় সেই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিশুর পরিবার থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুর পরিবারের সুরক্ষার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় জেষ্ঠ্য বিচারক এফআরএম নাজমুল আহাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থী নির্যাতনের ব্যাপারে ইতোপূর্বে দেয়া আদালতের নির্দেশনা যাতে সঠিকভাবে কার্যকর হয় সেটি প্রতিপালনে যাতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকেন। দেশের সংবিধান ও আইন মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন পরিচালিত হয় সেটি দেখবেন। যেহেতু তার (ইয়াহইয়ার) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন প্রচলিত আইন অনুযায়ী সেটি চলবে।’

এরপর আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়।

গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, মায়ের পেছন থেকে টেনে এনে রুমে নিয়ে এক শিশুশিক্ষার্থীকে জুতা ও বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন ইয়াহইয়া। তিনি হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি নামে একটি হাফেজি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক।

এই ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুললে নজরে আসে সর্বোচ্চ আদালতেরও। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিশু নির্যাতনকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের এই বেঞ্চ ।

ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনার দিন রাতেই মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

তবে নির্যাতনের শিকার পরিবারের অনীহার কারণে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছিল না। শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা আল্লাহর কাছে বিচার চান।

সমালোচনার মুখে বুধবার ইয়াহইয়াকে বরখাস্ত করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই বিকেল ৪টার দিকে তাকে আটক করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর থেকেই কারাগারে রয়েছেন ওই শিক্ষক।

এ বিভাগের আরো খবর