ঝড় ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মুখী কয়েকটি ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে নামাতে হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে উড়াল দিতে পারেনি কয়েকটি ফ্লাইট।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝড়ের কারণে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট ও নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ৩৫ মিনিট আকাশে প্রদক্ষিণ করতে থাকে।
এ সময় বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী একটি ফ্লাইট সিলেটে, কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী ফ্লাইট চট্টগ্রামে এবং ইউএস বাংলার দোহা থেকে ঢাকামুখী ফ্লাইট চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। পরে ঝড় কমে গেলে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় ফিরে আসে।
ঝড়ের কারণে ঢাকা থেকে চারটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। আর এ সময় ঢাকার আকাশে উড়তে থাকা তিনটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের পরে ঢাকায় অবতরণ করেছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘শনিবার বিকেলে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ওই সময় উড়ার অপেক্ষায় থাকা চারটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এ সময় বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ নটিক্যাল মাইল।
‘একই সময় ঢাকার আকাশে থাকা বিমান বাংলাদেশ, এমিরেটস ও নভো এয়ারের তিনটি ফ্লাইটকে ঝুঁকি বিবেচনায় অবতরণের অনুমতি দেয়া যায়নি। পৌনে ছয়টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লাইট ওঠা-নামা স্বাভাবিক হয়।’
সাধারণত বৈরী আবহাওয়ায় পাইলট খালি চোখে রানওয়ে দেখতে না পারলে নিরাপদ অবতরণের জন্য বিমানবন্দরগুলোতে ব্যবহার করা হয় ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস)। এ পদ্ধতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইলটকে এক ধরনের বেতার তরঙ্গ পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে সহজেই রানওয়ের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেন পাইলট।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস আছে, তার দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার।
বৈরি আবহাওয়ায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা নেমে আসলে পুরোনো আইএলএস দিয়ে ফ্লাইট ওঠানামা করানো প্রায়ই বিঘ্ন ঘটছে। সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও যশোর বিমানবন্দরে কোনো আইএলএস প্রযুক্তি নেই।