সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার দুপুরে আসে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের প্রাণহীন দেহ।
এ সময় আত্মীয়স্বজন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের চোখ ভিজে আসে জলে।
কয়েস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।
নেতার মরদেহ আসছে হেলিকপ্টারে, এ খবর পেয়ে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুরে কয়েসের গ্রামের বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। মরদেহ এসে পৌঁছার পর আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিকেল পর্যন্ত বাড়িতেই ছিল কয়েসের মরদেহ। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বাড়িতে খোলা শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন অনেকে।
শুক্রবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জে নিজের বাড়ির পাশের কাসেম আলী উচ্চ বিদ্যলয় মাঠে অবতরণ করে সাংসদ কয়েসকে বহনকারী বিমানবাহিনীর হেলিকাপ্টারটি। বিকেল সোয়া ৫টায় এখানেই তার নামাজে জানাজা হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। পুরো মাঠ ভরে যায়। এরপর আশপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নেন অনেকে।
এই মাঠেই খেলার একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু অসুস্থ হয়ে ৭ মার্চ ঢাকায় চলে যাওয়ায় অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। শুক্রবার এই মাঠেই এলো তার মরদেহ, হলো জানাজা।
হেলিকপ্টারে করে ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুরে কয়েসের মরদেহ আসে
বাবার নামে তৈরি মসজিদের পাশে নিজের জন্য কবর আগেই নির্মাণ করে গিয়েছিলেন কয়েস। সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের সেই কবরেই তাকে সমাহিত করা হয়।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে থাকা কয়েসের মৃত্যুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শুক্রবার বাদ জুমা সিলেট জেলার আওতাধীন সব উপজেলার মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাফিল।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নেন সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। ৮ মার্চ তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান ৬৫ বছর বয়সী কয়েস।