নাশকতার এক মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তারের পর জামিনের আবেদন নাকচ করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী জুডিশিয়াল কোর্টের বিচারক সোয়েব উদ্দিন খাঁন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া আরও তিনটি মামলায় বাদলের জামিনের আবেদন নাকচ হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করে ডিবি।
বসুরহাট পৌর এলাকায় মঙ্গলবার বাদলের সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকদের। রাতে পৌর চত্বরে গুলিতে প্রাণ হারান আলাউদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মী। গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ১৩ জন। এ ছাড়া আহত হন অন্তত ৩০ জন।
আরও পড়ুন: মির্জার প্রতিপক্ষ বাদলকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
গুলি ও হামলার ঘটনা একতরফা দাবি করে কাদের মির্জা বলেছিলেন, ‘কিছু প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম সেই রাতের ঘটনাকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলে প্রচার করেছে। যা সত্যি নয়।’
এই প্রেক্ষাপটে বাদলকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসাইন আহম্মদ।
তিনি জানান, নাশকতার এক মামলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করা হয় বাদলকে। শুক্রবার দুপুরে তাকে তোলা হয় আদালতে। সেখানে শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করেন। তিনি বাদলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ফিরিয়ে দিল পুলিশ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা জানান, গ্রেপ্তার বাদলকে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে অন্য তিনটি মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।