সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
দুই দিনের ভোট গ্রহণ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শেষ হয়। ব্যালটভর্তি বাক্স সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
সাত হাজার ৭২১ ভোটারের মধ্যে দুই দিনে ভোট দিয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৭৫ জন।
নির্বাচন পরিচালনা উপ কমিটির সদস্য বিএম ইলিয়াস কচি নিউজবাংলাকে জানান, ‘ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে ব্যালট বাক্স সুপ্রিমকোর্টের সোনালী ব্যাংকের ভল্টে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে গণনা শুরু হবে।’
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু এবং সম্পাদক পদে আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেলে সভাপতি হিসেবে ফজলুর রহমান আর সম্পাদক পদের জন্য লড়াই করছেন রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আরেকটি প্যানেলে সভাপতি পদে ওয়ালিউর রহমান খান এবং সম্পাদক পদে মির্জা আল মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
লাল প্যানেল নামে আরেকটি প্যানেল থেকে সভাপতি পদে কে এম জাবির ও সম্পাদক পদে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।
সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. ইউনুস আলী আকন্দ।
আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেল: সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া এ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যা এবং মো. আলী আজম, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. ইকবাল করিম, সহ-সম্পাদক সাফায়েত সুলতানা রুমি এবং নুরে আলম উজ্জ্বল।
সদস্য পদে মিন্টু কুমার মণ্ডল, মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ, মো. সানোয়ার হোসেন, এবিএম শিবলী সাদেকীন, মো. সিরাজুল হক স্বপন, মহিউদ্দিন আহমেদ, মাহফুজুর রহমান রোমান।
বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল: সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া অন্য পদের মধ্যে দুটি সহসভাপতি পদে জয়নুল আবেদিন তুহিন ও মো. জালাল উদ্দিন, দুটি সহ-সম্পাদক পদে মাহমুদ হাসান ও রাশিদা আলম ঐশী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মাহবুব লড়াই করছেন।
সাতটি সদস্য পদে মনজুরুল আলম সুজন, শফিকুল ইসলাম, মো. গোলাম আক্তার জাকির, পারভীন কাওসার মুন্নি, রেদওয়ান আহমেদ রানজিব, নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব ও এসএম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ প্রার্থী হয়েছেন।
বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্য থেকে ‘বিদ্রোহী’ প্যানেলে সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়াও সহ-সভাপতি পদে ইসমাইল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে নাসির উদ্দিন খান সম্রাট, সহ-সম্পাদক পদে এসএম জুলফিকার আলী ও মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ প্রার্থী হয়েছেন।
সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন শাফিউর রহমান, মো. মুনির হোসেন, একেএম মুক্তার হোসেন, মোহাম্মদ মহিত উদ্দিন, আকবর হোসেন, একেএনএম ওয়ালিউল ইসলাম ও নাজমুল হাসান।
সব ছাড়িয়ে এবার লাল প্যানেল নামে ভিন্ন আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ প্যানেলে সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি পদে নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. বদিউজ্জামান তপাদার, সহ সম্পাদক পদে মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য পদে শহিদুল হক, এস কে এম আনিসুর রহমান খান, জহিরুল আলম।
গতবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন দ্বিতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হন। সম্পাদক নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ওই বছর ১৪টি পদের মধ্যে ছয়টি পায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল), আর আটটি পায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)।