নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছেন তার ছোট ভাই রহিম উল্লাহ চৌধুরী বিদ্যুৎ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, তাকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর এলাকায় মঙ্গলবার বাদলের সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকদের। রাতে পৌর চত্বরে গোলাগুলিতে প্রাণ হারান আলাউদ্দিন নামে এক যুবলীগ কর্মী। গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ১৩ জন। এ ছাড়া আহত হন অন্তত ৩০ জন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ বাদলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার ভাই বিদ্যুৎ।
তবে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, মিজানুর রহমান বাদল গ্রেপ্তার কি না আমি এখনও জানি না। খোঁজ নিয়ে জানাব।
সংঘর্ষের সময় কাদের মির্জা পৌরসভাতেই অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। পরদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মিজানুর রহমান বাদল, ফখরুল ইসলাম রাহাত, মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ও আবদুর রাজ্জাক বাহিনীর নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাকে ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে বিনা উসকানিতে সম্পূর্ণ একতরফাভাবে আমার পৌরসভা কার্যালয়ের চারপাশ থেকে ঘিরে বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে ও বোমা বর্ষণ করে।’
এতে তার ১০জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং ৫০ থেকে ৬০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
গুলি ও হামলার ঘটনা একতরফা দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ‘কিছু প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম সেই রাতের ঘটনাকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলে প্রচার করেছে। যা সত্যি নয়।’
সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রচারের দাবি জানান তিনি।
তবে সংঘর্ষের রাতেই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন, কাদের মির্জা ও বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এই দুই পক্ষের সংঘর্ষেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি নিহত হন সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির। সে ঘটনার তিন সপ্তাহ পার না হতেই রক্তাক্ত হয় বসুরহাট।