বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের বিচার শুরু

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২১ ১৩:৩০

র‌্যাব জানায়, রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের নামে অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।এর মধ্য দিয়ে মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার সকালে এ আদেশ দেন।আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ দেন বিচারক।এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নান অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এর বিরোধিতা করে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির কাছে জানতে চান, তিনি দোষী নাকি নির্দোষ। এ সময় ৬৩ বছর বয়সী মালেক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী গত ১১ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে শিবলু নামে আরেক আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা উদঘাটনসহ গ্রেপ্তার করতে না পারায় অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে নাম-ঠিকানা পেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়ার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।র‌্যাব জানায়, রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন।

এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তুরাগে কামারপাড়ার বামনের টেক এলাকার ৪২ নম্বর হাজি কমপ্লেক্স নামের সাততলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।র‌্যাব আরও জানায়, মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের একজন চালক ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তিনি ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগ দেন।

১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরে কাজ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর