বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ত্বকী হত্যা: কারাগারে আজমেরীর ঘনিষ্ঠ ভ্রমর

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২১ ২১:১৪

ত্বকী হত্যা মামলার আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ জানান, ‘আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামি সুলতান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০১৪ সালে বিদেশে পালিয়ে যান। পরে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কয়েক বছর পর আজ সে আদালতে জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করেন।’

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় সুলতান শওকত ভ্রমরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সুলতান শওকত আলোচিত এই হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে পলাতক ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাওসার আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এ সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ত্বকী হত্যা মামলার আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ জানান, ‘আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামি সুলতান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০১৪ সালে বিদেশে পালিয়ে যান। পরে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কয়েক বছর পর আজ সে আদালতে জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করেন।’২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সুলতান শওকত ভ্রমর জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী

হত্যার এক বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ৫ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান জানান, আজমেরী ওসমানসহ ১১ জন ত্বকী হত্যায় অংশ নেয়।

হত্যা মামলার বাদী ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুলতান শওকত ভ্রমর স্বঘোষিত হত্যাকারী হওয়ার পরও অভিযোগপত্র না দেয়ায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ওসমান পরিবারের সহযোগিতায় বিদেশে পালাতে পেরেছে। ৮ বছরেও অভিযোগপত্র দাখিল করতে পারেনি র‌্যাব। আজমেরী ওসমানসহ এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

২০১৩ সালের ৬ মার্চ বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর