বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনন্ত হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বোন জামাই

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২১ ১৯:১৪

মামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আরও ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাকি রয়েছে।

বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিয়েছেন আরেক সাক্ষী।

বুধবার সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য দেন অনন্তের বড় বোনের স্বামী আইনজীবী সমর বিজয় সি শেখর। তিনি মামলার ১৯তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমিন বিপ্লব ২৩ মার্চ মামলাটির তারিখ দিয়েছেন। অনন্তের পক্ষের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আরও ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাকি রয়েছে।’গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তারিখে সাক্ষীরা না আসায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষগ্রহণ পিছিয়ে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন, খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ, কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন, কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ও সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকার সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়।

এদের মধ্যে মান্নান ইয়াহিয়া কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যান। বর্তমানে আবুল খয়ের রশিদ আহমদ ও শফিউর রহমান ফারাবী কারাগারে আছেন। অন্য আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক।

আসামি ফারাবীকে আরেক ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে।

বুধবার সাক্ষ্যগ্রহণে আবুল খায়ের রশিদ আহমদকে সিলেট কারাগার থেকে এবং শফিউর রহমান ফারাবী ঢাকা কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা করা হয়।বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল আহাদ ও জাকিয়া তাহমিনা রিপা।২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয়।

বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অনন্ত।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে অনন্ত সুনামগঞ্জের জাউয়াবাজারে পূবালী ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।হত্যাকাণ্ডের দিন রাতে অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর