ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘হিন্দুত্ববাদের দোসর’ মন্তব্য করে তার আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘মোদির বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে আজকে থেকে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এমন উগ্র হিন্দুত্ববাদের দোসরকে আমরা চাই না। যত দিন ভারতে তোমার দলের নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদ এবং সাম্প্রদায়িক মনোভাবের আধিপত্য থাকবে তত দিন তুমি এদেশে অবাঞ্ছিত।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।তার সফর সূচিতে ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াসহ আরও কিছু জায়গা রয়েছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মোদির সফরের বিরোধিতা করলেও তার অবস্থান ভারতবাসীর বিরুদ্ধে নয়।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ৫ লাখ মানুষ বাংলাদেশে কাজ করে বিনা পাসপোর্টে। ভারতে আমাদের প্রবাসীদের জন্যে মোদি সরকার আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে পারে।
‘আমাদের আজকে আওয়াজ তুলতে হবে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। ভারত আমাদের ন্যায্য পানি হিস্যার দাবি পূরণ না করলে আমাদের বুকের ওপর দিয়ে তাদের চলাফেরার অনুমতি দেয়া যায় না। রাজনৈতিক দলের নেতারা আত্মবিশ্বাস হারিয়েছে। সবার মধ্যে এমন ধারণা জায়গা করে নিয়েছে যে ভারতের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতার মসনদে বসা যাবে না।’
ফেনী নদীর ওপর সেতু তৈরি করতে ভারত কীভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে রাজি করাল প্রশ্ন রেখে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সঙ্গে একটা চুক্তি ছিল যাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে দ্রুত প্রবেশ করতে পারে। এখন সেই চুক্তির কার্যকারিতা আর নেই।
‘আজকে আমাদের রাজনৈতিকভাবে জাগরণ না হলে, আমাদের ভবিষ্যতে আরও দুর্গতিতে পড়তে হবে। আজকে সবাইকে একত্রিত হয়ে আমাদের মাথা উঁচু করে রাখতে হবে যেন আমরা সিকিম না হই। আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব আছে ভারতের এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।’
ফেনী নদীর ওপর সেতু চালু করা বড় ধরনের 'ভুল সিদ্ধান্ত' বলেও দাবি করেন ডা. জাফরুল্লাহ।