শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম মারধর করা চট্টগ্রাম হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির সেই শিক্ষক হাফেজ ইয়াহইয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুর অভিভাবকরা আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রাশেদুল হক।
তিনি বলেছেন, মামলা হলেই তাতে গ্রেপ্তার দেখানো হবে ইয়াহইয়াকে।
এর আগে মঙ্গলবার মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেয়া হয়। তবে শিশুটির পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম পেটানোর ভিডিও মঙ্গলবার ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এরপর রাত দেড়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। আটক করা হয় নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ ইয়াহইয়াকে।
তবে শিশুর পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করে। তাতে বলা হয়, ‘হিফজ বিভাগের শিক্ষক তাকে (শিশুটিকে) ধরে এনে বেদম প্রহার করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। উক্ত ঘটনায় আমরা বাবা-মা দুজনই মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছি। তথাপি আমার সন্তানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব না। এমতাবস্থায় আটক শিক্ষককে ছেড়ে দেয়ার বিনীত আবেদন করা হলো।’
আরও পড়ুন: শিশুকে প্রহার: আল্লাহর কাছে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিচার চান বাবা-মা
এই আবেদনের পর ইয়াহইয়াকে ছেড়ে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টা শিশুর বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। কিন্তু তারা কিছুতেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাচ্ছিলেন না। তাদের বক্তব্য, এতে শিক্ষকের অমর্যাদা হবে, শিক্ষক সামাজিকভাবে হেয় হবে। এভাবে অভিযোগ দিতে চাই না, ‘‘আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম’' এসব বলে তারা লিখিত দিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেননি।’
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইয়াহইয়াকে আটক করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। এর আগে বুধবার তাকে বরখাস্ত করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।