জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার পাশাপাশি মঙ্গলবার সাংসদ হাজি সেলিমের আরেকটি মামলার আপিলের ব্যাপারেও আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তথ্য গোপনের এ মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংসদ। তবে এ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৮৬টি প্লট রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ মামলায় হাজি সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে রায়ে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান, হাজি সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
পরে আইনজীবী তামান্না ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, হাজি সেলিম এবং তার স্ত্রীর নামে থাকা ৮৬টি প্লট রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ৮৬ প্লটের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৩৮টি এবং পুরান ঢাকা লালবাগ এলাকায় বাকি প্লট রয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক আইনে (২৬-এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালত তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজি সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, দুদক এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে হাজি সেলিমকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের রায় দিয়েছে আদালত।