পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন বরিশালের মেহেদিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খানসহ দুই জন।
মিজানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন।
পৌর মেয়র ছাড়াও আরেক সাক্ষী ছিলেন ডাচ বাংলা ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখার ম্যানেজার আরিফুল হক।
এদিন সাক্ষ্য দেয়ার পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী মেয়র কামাল উদ্দিন খানকে জেরা করেন। কারাগারে থাকা ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকেও আদালতে আনা হয়।
মামলাটিতে অভিযোগপত্রের ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মার্চ দিন ঠিক করেছে আদালত।
দুদকের মামলায় আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
এর মধ্যে সোহেলিয়া আনার রত্না ও মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
গত বছরের ১ জুলাই মিজানকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সময় দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন ডিআইজি মিজান।
পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়। ওই মামলাটি চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।