জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাজি সেলিমের আপিল আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।
আদালত হাজি সেলিমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়। অনাদায়ে তাকে এক বছরের সাজা খাটতে হবে।
রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে সাংসদকে। না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন সাংসদ।
এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। বিকেল সাড়ে ৪টার আগে রায় ঘোষণা করা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাজি সেলিমের আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট।
গত ৩১ জানুয়ারি মামলায় আপিলের পুনঃ শুনানি শুরু হয়। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও তার ছেলে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
গত বছরের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করে হাইকোর্ট। সে আদেশ অনুযায়ী নথি আসার পর আপিল শুনানির দিন ধার্য হয়। পরে ৩১ জানুয়ারি শুনানি শুরু হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। এরপর ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের সাজা বাতিল করে।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে ফের হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
গত ৮ নভেম্বর দুদক থেকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরদিন মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। এরপর আপিলটি কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নথি তলব করে হাইকোর্ট। নথি আসার পরই শুনানি শুরু হয়।