দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মফিজুর রহমান ভূঞা আর নেই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় তার।
মফিজুরের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
মফিজুরের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মফিজুর রহমান ভূঞার মৃত্যুতে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ একজন অকৃত্রিম স্বজন হারিয়েছে। তিনি ছিলেন সততা, নিষ্ঠা, মেধা ও মননশীলতার অনুপম দৃষ্টান্ত।
‘দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার কর্মনিষ্ঠা, প্রজ্ঞা ও সততা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমার হয়েছে।’
মফিজুরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ইকবাল মাহমুদ।
তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, ‘জীবনের এ চরম দুঃসময়ে ধৈর্য ধারণ করে শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি যেন মহান আল্লাহ তাদের দান করেন।’
আইনমন্ত্রীর শোক
মফিজুরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মফিজুর রহমান ছিলেন কাজে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক। তার মৃত্যুতে বিচার বিভাগ একজন সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারককে হারাল।’
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মফিজুর রহমান ভূঞা জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস থেকে প্রেষণে দুদকে কর্মরত ছিলেন। সিলেটের জেলা জজ থাকাকালে দুদকে বদলি হয় তার।
মফিজুরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়।