বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় পরিকল্পনা, নীলফামারীতে ইজিবাইক চুরি, হত্যা

  •    
  • ৮ মার্চ, ২০২১ ১৮:১৭

ছিনতাইকারীরা সিআইডিকে জানিয়েছে, ইজিবাইকটি চালকের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন হওয়ায় চক্রটিকে এটি দিতে চাননি তিনি। পরে তাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে যায় চক্রটি।

রাজধানীতে হয় ইজিবাইক চুরির পরিকল্পনা। সেই অনুযায়ী একটি জেলাকে টার্গেট করা হয়। এরপর নির্ধারিত এলাকায় গিয়ে যাত্রীবেশে ইজিবাইকে চড়ে বসে সংঘবদ্ধ চক্রটি। নির্জন এলাকায় পৌঁছে চালকের কাছ থেকে ইজিবাইকের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয় তারা।

এমনিভাবে নীলফামারীতে একটি ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাধা দেন চালক। বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করে চক্রটি। ছিনিয়ে নেয়া ইজিবাইকটি পরবর্তীতে তারা মালিক সেজে বিক্রি করে দেন।

ইজিবাইক চুরি ও চালক হত্যার ঘটনা তদন্তে সংঘবদ্ধ চক্রটির সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

২১ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১১টায় নীলফামারীর চাপড়াসরমজানী ইউনিয়নের ইটাপাড়ী সেতু সংলগ্ন এলাকায় ইজিবাইকচালক আব্দুল হালিমকে হত্যা করা হয়। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটির সন্ধান পায় সিআইডি।

রোববার সিআইডির এলআইসি শাখার একটি টিম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন মাসুম আলী, সাদেক আলী ও মো. সমবারু।

তবে সামিউল নামে চক্রের মূল হোতা এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এদের মধ্যে সমবারু নকল দলিল করে মালিক সেজে চোরাই ইজিবাইকটি ৭৬ হাজার টাকায় জয়দেব রায় নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন ।

সোমবার দুপুরে সিআইডির খুলনা ও রংপুর বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘চক্রটি ঢাকায় পরিকল্পনা করে নীলফামারীতে যায় ইজিবাইক চুরি করতে। সেটি ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বিক্রির চুক্তিনামাটিও উদ্ধার করেছি। গ্রুপটি ঢাকাসহ সব জেলায় চুরি করে। তবে উত্তরাঞ্চলে বেশি করে থাকে।’

ইজিবাইকচালক আব্দুল হালিম হত্যার ঘটনায় নীলফামারী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলটির ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডির এলআইসি শাখা। এলআইসি শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রটিকে শনাক্ত করেন।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘গত ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে শামীম ইসলাম ও সাদের আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নীলফামারীর একটি নর্দমা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।’

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চক্রটি ঢাকার আশপাশে বসবাস করে। তারা ঢাকায় থেকে চুরির পরিকল্পনা করে। এরপর বিভিন্ন জেলায় বের হয়ে যায়। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুরে।

তিনি বলেন, ‘চক্রটিকে গ্রেপ্তার না করতে পারলে ইজিবাইক চুরি বন্ধ হবে না। চক্রটি যাত্রীবেশে ইজিবাইকে ওঠে। চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

ইজিবাইকচালক হালিমকে হত্যার কারণ হিসেবে ছিনতাইকারীরা সিআইডিকে জানিয়েছে, ইজিবাইকটি হালিমের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন হওয়ায় তাদের এটি দিতে চাননি তিনি। তাই তাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে যায় চক্রটি।

এ বিভাগের আরো খবর