দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
এ ক্ষেত্রে আগের শর্তগুলো মেনে চলতে হবে খালেদা জিয়াকে।
সোমবার এ-সম্পর্কিত নথি অনুমোদন দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর নথিটি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি মতামত দিয়েছি। ছয় মাস আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে উনার স্থগিতাদেশ। পূর্বের যে শর্ত ছিল, সেই শর্তানুযায়ী।’
আনিসুল হক বলেন, ‘উনার আবেদনে বিশেষায়িত চিকিৎসার বিষয়ে কিছু কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে তিনি যদি বাংলাদেশের ভেতরে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে চান সরকারের কোনো আপত্তি নেই।’
খালেদার দণ্ডাদেশ মওকুফ বা বিদেশ যাওয়ার যে আবেদন করা হয়েছিল, সে বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘না, আমরা তো আগের শর্ত দিয়েছি।’
৩ মার্চ খালেদা জিয়ার পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করা হয়। আবেদনপত্রে সই আছে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দরের।
আবেদনে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। এটি ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তার পরিবারের তৃতীয় দফা আবেদন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই রায় হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী।
আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার।
২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয় খালেদা জিয়ার দণ্ড। এরপর গত বছরের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ছয় মাস শেষ হওয়ার আগেই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
সাময়িক মুক্তির পর এখন খালেদা জিয়া গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৫ মার্চ।