মানব পাচারের মামলায় নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে। মামলায় ইভান ছাড়া আরও ৯ আসামি আছেন।
রোববার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ থাকলেও তা পিছিয়ে ২৪ মার্চ করেছে আদালত।
মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান রোববার প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ দেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, চক্রের হোতা আজম খানসহ আরও কয়েকজনের একটি চক্র দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ড্যান্সবারে চাকরি দেয়ার কথা বলে নারী পাচার করত। দুবাইয়ে আজম খানের নিজস্ব হোটেল ও ড্যান্সবার আছে। দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যারা নাচ-গান করে তাদের অধিক আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করত তারা। সেখানে নিয়ে নৃত্যশিল্পীদের যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো।
গত বছরের ২ জুলাই আজম খান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেন লালবাগ থানার সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মৃণাল কান্তি দাশ।
১১ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনের বাসা থেকে ইভানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ১৫ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি। পরে ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা তাকে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ইভান শাহরিয়ার ‘সোহাগ ড্যান্স গ্রুপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাচে অংশ নেয় তার দল। ২০১৭ সালে নির্মিত ‘ধ্যাততেরিক’ চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ইভান।
মামলাটিতে অন্য আসামিরা হলেন আলামিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, স্বপন হোসেন, নাজিম, এরশাদ ও নির্মল দাস (এজেন্ট), আলমগীর, আমান (এজেন্ট) ও শুভ (এজেন্ট)।