মশা নিধনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এটি পরিচালনার জন্য একেকটি অঞ্চলে ১২০০ কর্মী একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
রাজধানীর বনানীতে শনিবার ‘শহিদ যায়ান চৌধুরী’ খেলার মাঠের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে নিউজবাংলাকে এ কথা বলেন তিনি।
‘বর্তমানে সমস্ত অঞ্চলে আমাদের মশক কর্মীরা কাজ করছেন। তাদের আরও মনিটরিংয়ের জন্য ইনটেনসিভ একটা ক্রাশ প্রোগ্রাম অঞ্চলভিত্তিক করব। অর্থাৎ ১০টা অঞ্চল থেকে সকলকে একটি অঞ্চলে নিয়ে আসব। একেকটি অঞ্চল ধরে কাজ করব।’
আতিকুল বলেন, ‘আমরা যে মশা মারছি সেটা দেখার জন্য পৃথক একটা পরিদর্শক টিম তৈরি করছি। তারা দেখবে কোন কোন জায়গায় লার্ভা আছে। কোথায় কোথায় কাজ হচ্ছে, কোথায় কাজ হচ্ছে না। ১০ দিন ১০টা অঞ্চলে এ কার্যক্রম চলবে।’
ডিএনসিসি মেয়র জানান, ক্রাশ প্রোগ্রামের শুরুর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে মিরপুর অঞ্চলকে। ১২০০ কর্মী সেদিন কাজ করবে। ওই দিন সামাজিক সংগঠনসহ সবার সহযোগিতা চাওয়া হবে।
‘ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে আমাদের কর্মীরা কাজ করে। ওই দিন তারা একটি অঞ্চলে করবে। এ রকম করে ১০টি অঞ্চলে কাজ করা হবে।’
এর আগে মশক নিধনে জলাশয়গুলোতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ক্রাশ প্রোগ্রামে এর ব্যবহার থাকছে না বলে জানালেন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের অঞ্চলে (ডিএনসিসি) প্রচুর জলাশয় রয়েছে, ডোবা রয়েছে। সেসব জলাশয় ডোবায় মশার ওষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। সে জন্য আমরা ড্রোন নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছি। এটা নিয়ে আরও সার্ভে করা হবে।’
গত মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি থেকে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার ব্যতীত ৮ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় কিউলেক্স মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। এই ক্রাশ প্রোগ্রামে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সব মশক নিধনকর্মী এবং যান-যন্ত্রপাতি একটি অঞ্চলে নিয়ে একদিন করে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বনানীতে ‘শহিদ যায়ান চৌধুরী’ খেলার মাঠ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এডাল্টিসাইডিং করা হবে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চলবে। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হবে।
৮ মার্চ মিরপুর-২ অঞ্চল (অঞ্চল-২), ৯ মার্চ মিরপুর-১০ অঞ্চল (অঞ্চল-৪), ১০ মার্চ কারওয়ান বাজার অঞ্চল (অঞ্চল-৫), ১১ মার্চ মহাখালী অঞ্চল (অঞ্চল-৩), ১৩ মার্চ ভাটারা অঞ্চল (অঞ্চল ৯) ও সাতারকুল অঞ্চল (অঞ্চল-১০), ১৪ মার্চ উত্তরা অঞ্চল (অঞ্চল-১), ১৫ মার্চ দক্ষিণখান অঞ্চল (অঞ্চল-৭) ও উত্তরখান অঞ্চল (অঞ্চল-৮) ও ১৬ মার্চ হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) এই অভিযান পরিচালিত হবে।