রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের আট তলা থেকে পড়ে যাওয়া নারী মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পারভিন আক্তারের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তার বাম হাত ভেঙ্গে গেছে এবং কোমরে ক্ষত হয়েছে। তিনি কথা বলতে না পারলেও তরল খাবার খেতে পারছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে মতিঝিল কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। তাকে শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
তার পরিবার অভিযোগ করেছে, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মানসিক চাপের কারণে ওই নারী কর্মকর্তা আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়েছিলেন। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। লাফিয়ে পড়লেও ছয় তলার কার্নিশে আটকে যায় তার দেহ। পরে ব্যাংকের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পারভিন আক্তারের ছোট ভাই আবিদ হাসান শুক্রবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে তার করোনা হয়েছিল। করোনার কারণে আপু একটু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার ওপর অফিসের ব্যাপারে কিছুটা ডিস্টার্বড ছিলেন। অফিসের বসকেন্দ্রিক যে সমস্যা হয় আরকি। এই কারণে আপু অনেকদিন ধরে মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছিলেন। এখন পর্যন্ত তার সাথে কথা হয় নাই। কথা হলে সব জানা যাবে।’
ট্রমা সেন্টারের কর্মকর্তা মো. ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, পারভিন আক্তার বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ভর্তি হয়েছেন। তিনি এখন ৪১৬ নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক কাওসার আহম্মেদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে আমরা খবর পাই। তখন ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা ঘটনাস্থল অফিস পরিদর্শন করতে পারি নাই। আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তবে পারভিন আক্তার কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। রোববার ব্যাংক খুললে আমরা সবার সাথে কথা বলব।’
ঘটনার কারণ জানতে চাইলে কাওসার বলেন, তারা দু পক্ষ থেকে দু ধরনের বক্তব্য পাচ্ছেন। অফিস বলছে, পারিবারিক চাপে তিনি এই কাজ করেছেন। আর পরিবার বলছে, অফিসের মানসিক চাপে তিনি এই কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই কর্মকর্তা লাফিয়ে পড়েছেন নাকি দুর্ঘটনাবশত তিনি পড়ে গেছেন, তা এখনও নিশ্চিত জানা যাচ্ছে না। ব্যাংকের দুজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (ডিএমডি) সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারা তাকে বলেছেন, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গেছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি।