আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরাজমান সমস্যা সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সফরে আসা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তার সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সমস্যা থাকে। সেগুলো আমরা মনে করি সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রমের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।’
টিকা সরবরাহসহ কোভিড-১৯ মহামারি সংকটে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোয় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘লিবারেশন ওয়ার অব বাংলাদেশ’ নামে একটি বই তুলে দেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বইটি লিখেছেন জয়শঙ্করের বাবা কে. সুব্রামানিয়াম। ভারতের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অংশ নেয়ার বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা অনেক বড় সম্মানের।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এটা অনেক বড় অর্জন। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিস্ময়কর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর বলেন, এ অঞ্চলের সবাই কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেছে। চলমান এ সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।