বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্মীরা আসক্ত কি না, খুঁজছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২১ ১৯:১৮

আমাদের একজন সদস্য মাদক সেবন করে বলে পরীক্ষা করে পেয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল একজন পরিদর্শককে আমরা পরীক্ষা করেছি। কিন্তু পরীক্ষায় তার মাদক সেবনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি: মহাপরিচালক

মাদক নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাই মাদকে আসক্ত। সম্প্রতি ডোপ টেস্টে এর প্রমাণও মিলেছে।

সংস্থার আর কারা মাদকে আসক্ত, সেটি খুঁজে বের করতে অধিদপ্তর এই পরীক্ষা আরও ব্যাপকভাবে চালাতে চায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার।

তিনি বলছিলেন, পুলিশের মধ্যে যারা মাদকসেবী রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তখন তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, অধিদপ্তরের কেউ মাদকে আসক্ত হলে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। বিধিমালাটি তৈরি হলে বিস্তারিত কাজ করা যাবে। তবে আমাদের একজন সদস্য মাদক সেবন করে বলে পরীক্ষা করে পেয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘গতকাল একজন পরিদর্শককে আমরা পরীক্ষা করেছি। কিন্তু পরীক্ষায় তার মাদক সেবনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

অন্য এক প্রশ্নে আহসানুল জব্বার জানান, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালাতে তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যারা রোহিঙ্গা রয়েছেন তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার প্রবণতা রয়েছে। সেজন্য এখানে আমাদের অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।’

যে কারণে অস্ত্র ও মোবাইল ট্র্যাকার চায় মাদকের কর্মীরা

এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। কেন তারা অস্ত্র চাইছেন, মোবাইল ট্র্যাকারই বা কেন প্রয়োজন- এমন প্রশ্ন ছিল মহাপরিচালকের কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত যারা মাদক বিক্রেতা থাকেন, তারা অনেক ভয়ঙ্কর হয়। এরা অনেক সময় আমাদের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় আমরা এখন অনুধাবন করছি যে আমাদের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে।

‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের তত্ত্বাবধায়নে একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটি এখন বিচার-বিশ্লেষণ করছে কীভাবে কী উপায়ে আমাদেরকে অস্ত্র দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে আরও একটি বিষয় আমরা অনুধাবন করেছি যে আমাদের অবশ্যই মোবাইল ট্র্যাকার প্রয়োজন। খুব সহজে এর সাহায্যে আমরা অপারেশন চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারব।’

অনিয়ম পেলে মাদক নিরাময় কেন্দ্র বন্ধ

মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে ধরনের অন্যায় পাওয়া গেলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার কথাও জানান আহসানুল জব্বার।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৯ টি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লাইসেন্স বন্ধ করে দিয়েছি। যেসব মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অন্যায় পাওয়া যাবে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।’

গত ছয় মাসে ঢাকার দুটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে দুই জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

গত নভেম্বরের শুরুতে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মালিকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার পর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি মালিবাগ হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রেও এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মালিকপক্ষ এতে আত্মহত্যা বলছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘নিহত হওয়া ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গিয়েছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।’

মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার পাশে থাকা এক কর্মকর্তারা বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু অসংগতি রয়েছে। তবে অধিকাংশ মাদক নিরাময় কেন্দ্র সঠিকভাবে চলছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর