তিনটি জেলা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি করে ঢাকায় এনে বিক্রি করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক।
তিনি জানান, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসব অটোরিকশা বিক্রির দায়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার ধোলাইপাড়ে শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন অটোরিকশার চালক শাহ আলম ও মেকানিক মোহাম্মদ জামাল। তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, ওই দুইজন দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন প্লেট ও কাগজপত্র তৈরি করে চোরাই অটোরিকশা বিক্রি করে আসছেন।
জব্দ হওয়া ভুয়া কাগজ
শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি যাত্রাবাড়ীতে শাহ আলমের গ্যারেজে চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি হয়। এখানে আনার পর অটোরিকশা রং করে বদলে ফেলা হয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করি। তবে গ্যারেজের মালিক এখনও পলাতক আছেন। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
‘এই গ্যারেজ থেকে আমরা পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছি। এগুলো কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চুরি করে আনা। চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢাকার কাঁচপুর দিয়ে আনা হয় শাহ আলমের ধোলাইপাড়ের গ্যারেজে।’
তিনি বলেন, ‘গ্যারেজে আনার পর ভুয়া নম্বর প্লেট দেয়া হয়। তারপর রং করে বিক্রি করা হয়। শাহ আলম গত দুই মাসে ১৫ থেকে ২০টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি করেছেন। প্রতিটি সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি হতো ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকায়।’
জব্দ হওয়া পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা
সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক জানান, বিক্রির পাশাপাশি ভুয়া নম্বর প্লেটের অটোরিকশা ব্যবহার করা হতো ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে। তবে কীভাবে ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরি হতো, তা জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।