বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা ইস্যুতে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক, কষ্টের। সীমান্তে যাতে কোনো অপরাধ না ঘটে এবং কোনো হত্যার ঘটনাও না ঘটে সে বিষয়টি নিশ্চিতে দুই দেশ কাজ করছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলেন তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুপুরে এ বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলন হয়।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশ কেবল ভারতের প্রতিবেশী, বন্ধু বা এশিয়ান পার্টনারই নয়, ইন্দো প্যাসেফিক অঞ্চলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এ অবস্থায় আসতে সময় লেগেছে ৫০ বছর। কোভিড মোকাবিলায় তাই বাংলাদেশ ভারতে উৎপাদিত টিকার প্রধান গ্রাহক (রিসিপেন্ট)।’
সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি তোলেন এক সাংবাদিক। জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত, কষ্টকর, অগ্রহণযোগ্য। এটা অবশ্যই বেদনাদায়ক। তারপরেও এটা ঘটছে (এভরি ডেথ ইজ আনএক্সপেক্টেড, নট ইজি, নট টলারেবল। ইটস অবভিয়াসলি পেইন। বাট ইট হ্যাপেন্ড)।’
ভারতীয় সীমান্তের মধ্যেই বেশি মৃত্যু ঘটছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এ ইস্যুতে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে বলব, সীমান্তে কোনো অপরাধ ঘটবে না, কোনো মৃত্যু থাকবে না।’
জয়শঙ্কর বলেন, ‘পানি সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক শিগগিরই হচ্ছে। সেখানে অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।’
তিস্তা নিয়ে ভারত আগের মতোই ইতিবাচক অবস্থানে আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ড. এস জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরবেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসবেন। তার এ সফর নিয়ে আলোচনা করতেই ঢাকা সফর করছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।