করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত।
৩ মার্চ বুধবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু এদিন বাড্ডা থানা পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ প্রতিবেদন দাখিলের এ নতুন তারিখ ঠিক করেন।
গত বছরের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ৩ সেপ্টেম্বর আদালত ডা. সাবরিনাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় জামিন পেলেও অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন তিনি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে।
সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্মতারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল হক চৌধুরী।
করোনার পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।