পৌরসভা নির্বাচনে ভোট শেষ হতে না হতেই ইউনিয়ন পরিষদে ভোটের তফসিল ঘোষণা হলো।
নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট নেবে আগামী ১১ এপ্রিল।
এর মধ্যে ৩০টিতে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। বাকিগুলোতে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যালটে ভোট হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ৩২৩টি ইউনিয়নে ভোট নেয়ার কথা জানিয়েছিল। তবে এর সঙ্গে আরও প্রায় ৫০টি পৌরসভা যোগ করা হয়।
বুধবার কমিশন সভা শেষে এই তফসিল ঘোষণা করেন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে যারা ভোটে অংশ নিতে চান, তাদের ১৮ মার্চের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ১৯ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। পৌর নির্বাচনের মতো তৃণমূলের এই আসনগুলোতেও ধাপে ধাপে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
কোথায় কোথায় ভোট দেখতে ক্লিক করুন
তৃণমূলের এই ভোট নিয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকে বরাবর। গতবার এই ভোট নিয়ে সংঘর্ষে ৪১ জনের প্রাণহানিও হয়েছিল, যাদের সিংহভাগই আওয়ামী লীগের নিজেদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।
এবার বিএনপি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়ায় সেই আগ্রহে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।
পাঁচ দফায় পৌর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা বিএনপির স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি ইউপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে নির্বাচন কমিশন সচিব বিএনপিকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আর দলটি অংশ নেবে বলেও আশাবাদী তিনি। তিনি বলেন, ‘১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। সময় এখনও আছে। এখনই আমরা কিছু বলতে চাই না। আমরা যেটা বলতে চাই, আমরা সবাইকে নিয়ে ইলেকশন করতে চাই।’
তবে ভোট সুষ্ঠু হবে নিশ্চয়তা দিয়ে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন করার একটা প্রিন্সিপাল আছে আমাদের। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যারা থাকেন, সবাইকে নিয়োগ করে থাকি। প্রয়োজনে বিজিবি নিয়োগ করে থাকি।’
১১ পৌরসভাতেও ভোট
একই দিন নানা কারণে আটকে থাকা ১১টি পৌরসভাতেও ভোট নেয়া হবে। প্রতিটিতেই ভোট নেয়া হবে ইভিএমে।
পৌরসভাগুলো হলো ঝালকাঠি, কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, যশোর এবং একই জেলায় ও অভয়নগরের নোয়াপাড়া।
ভোট হবে পাপুলের শূন্য আসনেও
১১ এপ্রিল ভোট হবে লক্ষ্মীপুর-২-এর সংসদীয় আসনেও। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটি থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি।
গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের একটি আদালত তাকে চার বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।
সংবিধান অনুযায়ী কারও দুই বছরের সাজা হলেই তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারান।