মানব ও অর্থপাচার মামলায় কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের শূন্য আসন লক্ষ্মীপুর-২ এ ভোটের তফসিল দিল নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে ভোট হবে আগামী ১১ এপ্রিল।
আগ্রহী প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ১৮ মার্চের মধ্যে। সেই মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হবে ১৯ মার্চ। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।
আসনটিতে ভোট নেয়া হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে এই তফসিল ঘোষণা করেন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনটিতে পাপুল অংশ নেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার জোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে সেটি ছেড়ে দিয়েছিল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা মোহাম্মদ নোমান আসনটিতে জেতেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। পরের বার মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েও ভোটের আগে আগে হঠাৎ করেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাপুলের পক্ষে কাজ করেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামও সংসদ সদস্য। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্যদের ভোটে।
জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে পাস করা সংসদ সদস্যরা আনুপাতিক হারে নারী আসনের একটি পদ পেয়েছিলেন এবং তারা সেখানে মনোনয়ন দেন পাপুলের স্ত্রীকে।
গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের একটি আদালত পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করে।
সংবিধান অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের সাজা হলে কেউ সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না। তবে পাপুল দেশের বাইরে সাজা পাওয়ায় তার সংসদ সদস্য পদ ফাঁকা হবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
যদিও ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রায়ের কপি স্পিকার শিরীর শারমিন চৌধুরীকে পাঠানো হলে তিনি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণার নির্দেশ দেন। পরে জাতীয় সংসদ সচিবালয় সেটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করে।
পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত আদালতে আরও বেশ কিছু মামলা আছে।