বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২১ ১৩:৫১

আবেদনে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি সেটা জানিয়েছেন এবং তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না সেটা সম্বন্ধেও বলেছেন।’

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছে পরিবার।

এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তার পরিবারের তৃতীয় দফা আবেদন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করা হয়। আবেদনপত্রে সই আছে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দরের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘তাকে (খালেদা জিয়া) ছয় মাসের জন্য প্রথম দফায় (দণ্ড স্থগিত করে) মুক্তি দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় আরও ছয় মাস তাদের আবেদনের ভিত্তিতে, তাদের মানে তার ঘনিষ্ঠজন পরিবারের আবেদনক্রমে এটা করা হয়েছিল। সে সময়টা শেষ হচ্ছে।

‘সে কারণে সময়টা এক্সটেনশন করার জন্য আরও কিছু শর্ত শিথিল করে তারা এক্সটেনশন চেয়েছেন।’

আবেদনে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি সেটা জানিয়েছেন এবং তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কি না সে সম্বন্ধেও বলেছেন।’

পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত আসলে আমাদের যথাযোগ্য ইসের (কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে আলাপ করে তারপর ব্যবস্থা নেব।’

তবে এখনও সেই চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকতে দেয়ার কারণ ব্যাখ্যায় মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেহেতু আর্থ্রাইটিস রোগে ভুগছেন এবং চলাফেরা করতে খুব অসুবিধা হয়, সবসময় কারও সহযোগিতায় রাখতে হয় আগে থেকেই; কারাগারে গিয়েছেন বলে নয়। সে জন্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বাসায় থেকে আরেকটু ভালো সেবা যাতে পায় সে জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন।’

প্রতিবারই আবেদনে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন তার মনোনীত চিকিৎসকরা তাকে সেবা দিয়েছেন। বাসাতেও তার মনোনীত চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন।’

খালেদা জিয়া যে বাড়িতে থাকছেন, সেটা কারাগার কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেই শর্ত দিয়েছি বাসায় তিনি অবস্থান করবেন; বাসার বাইরে তিনি যাবেন না।’

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার।

২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য স্থগিত হয় খালেদা জিয়ার দণ্ড। এরপর গত বছরের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ছয় মাস শেষ হওয়ার আগেই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।

সাময়িক মুক্তির পর এখন খালেদা জিয়া গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৫ মার্চ।

এ বিভাগের আরো খবর