বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোদির আগে আসছেন জয়শঙ্কর, বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ২২:৩০

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন ‘আবার অনেক জটিল বিষয় আলোচনা করে আমরা এগিয়ে নিয়ে থাকি। তার অংশ হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তিনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা ও বৈঠক করবেন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এগিয়ে নিতে ঢাকায় আসছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মোদির সফর কর্মসূচি চূড়ান্ত করতেই তার এ সফর বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত নানান অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। সব সফরেই কিছু না কিছু এক্সপেক্টেশন থাকে। আমরা এইসব সফরে অনেক বিষয় নিষ্পত্তি করে থাকি।

‘আবার অনেক জটিল বিষয় আলোচনা করে আমরা এগিয়ে নিয়ে থাকি। তার অংশ হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তিনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা ও বৈঠক করবেন।’

জয়শঙ্ককরের সফরে আলোচনা হতে পারে এমন বিষয় ও এজেন্ডা সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজেন্ডা তো টেবিলে সব সময়ই কিছু না কিছু থাকে। এবারও অনেক কিছু থাকবে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বা পাবে কানেক্টিভিটি। কানেক্টিভিটি ও পারস্পরিক সাহায্যেরে ক্ষেত্রে বাণিজ্যে ও দুর্যোগে ভারত আমাদের সাহায্য করছে। তবে যোগাযোগ ক্ষেত্রে এবার যুগান্তকারী কিছু ঘোষণা আসবে। নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ঘোষণা দেবে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কোভিড কিন্তু একটি কেবল স্বাস্থ্য ইমার্জেন্সি বিষয় নয়। এটা কিন্তু একটি অর্থনৈতিক ইমার্জেন্সিও তৈরি করেছে বিশ্বব্যাপী। এটা সারা বিশ্বের সাপ্লাই চেইনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এর প্রভাব আমাদের বাজারেও ঘটতে পারে, এ নিয়ে আমরা যথেষ্ট সচেষ্ট। আপনারা জানেন ভারত থেকে আমাদের দেশে প্রচুর ম্যাটেরিয়াল আসে। যা দিয়ে রপ্তানি পণ্য তৈরি হয়। রপ্তানি বাজার এইসব পণ্যে চাঙ্গা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। আমরা ভারতের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। যাতে এর কোনো প্রভাব আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাজারে না পড়ে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে থাকা অভিন্ন নদী নিয়ে যে বৈঠকগুলো হচ্ছিল না, তা হওয়া শুরু হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এ নিয়ে যে সমস্যা আছে তার সমাধান হবে, তাও আমরা আশা করি না। যেহেতু এরপরেই প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক রয়েছে। ডেলিভারেবলস যেগুলো আমরা বড় বৈঠকের জন্যই রেখে দেই। তবে যতোটুকু এগিয়ে রাখা যায়, তা আমরা রেখে দেব।’

ভারতের সঙ্গে কমপ্রেহেনসিভ এগ্রিমেন্ট সই হতে পারে, ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইকোনোমিক ফ্রন্টে যে কাজগুলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশে আসবেন, তখন বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সুপারিশ পেয়ে গেছি। এর সঙ্গে আগামী তিন বা ছয় বছর আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল করার জন্য আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করেছি, যেটাতে অনেকে মনে করেছিলেন নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।

‘আমাদের ডোমেস্টিক চ্যালেঞ্জ থাকার পরও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ট সিদ্ধান্তে আমরা তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি ট্রানজিটের কথা বলছি। সেটা এখন আর বড় ইস্যু নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন, সেখানে দক্ষতা বাড়িয়ে কীভাবে সিমলেস করা যায়, সে দিকে নজর দিতে। ভারত সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী নেপাল ও ভুটানে আমাদের পণ্যবাহী গাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এগুলো কীভাবে আরও বেশি ব্যবহার করা যায়, ভারত সেখানে আমাদের কেমন সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।’

বিশেষ করে ভারতের নর্থ-ইস্টে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা কারখানার পণ্যের অভাবনীয় চাহিদা রয়েছে। এগুলো সহজে সেখানে পৌঁছাতে ভারতের ডাউকিতে এবং আমাদের তামাবিলে আমরা একটি পেট্রোপোল তৈরির কাজ করছি। যার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে, বলেন শাহরিয়ার আলম।

এ বিভাগের আরো খবর