ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার শাহবাগে মশাল মিছিল থেকে আটক করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়াসহ তিন দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রেস ক্লাব হয়ে হাইকোর্টের মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পল্টন মোড়ে ফিরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- লেখক মুশতাক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা।
ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্যাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু। এ ছাড়া সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ খায়রুল হাসান জাহিদসহ ঢাকা মহানগর শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘যেদিন লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যান, তার পরের দিন এর প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত মশাল মিছিলে পুলিশ হামলা করে। পুলিশ শুধু শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সেখান থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের নামে ১০টি ধারায় মামলা দেয়।
‘আগামীকাল এই মামলার শুনানি হবে। এতে যদি তাদের জামিন দেয়া না হয়, তাহলে প্রতিদিন দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমরা এইরকম আরও মশাল মিছিল করব। সেই মশাল মিছিলের মাধ্যমে ছাত্র-জনতাকে একত্র করে আমরা সরকার পতনের ডাক দেব।’
এ সময় তিনি সাত শিক্ষার্থকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইনকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কারাগারে লেখক মুশতাকের রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।’
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লেখক মুশতাকের হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সাতজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করে।