শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
রমনা থানায় করা মামলাটিতে দিলদারকে একমাত্র আসামি করে গত রোববার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
আগের দিন সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিক অভিযোগপত্রে দেখিলাম লিখে স্বাক্ষর করেন।
মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য সোলাইমান।
২০১৭ সালের ১২ আগস্ট শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে চোরাচালানের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের প্রায় ১৫ মণ সোনা ও হীরা জব্দ করা হয়। এসব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত এবং গোপন রাখার দায়ে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এর মধ্যে গুলশান থানায় দুটি, ধানমন্ডি থানায়, উত্তরা ও রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পাঁচটি মামলার মধ্যে রমনা থানার মামলাটিতে অভিযোগপত্র জমা হয়েছে।
২০১৭ সালে রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনার পর আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে শুল্ক গোয়েন্দা। অভিযানে বিপুল পরিমাণ শুল্ক বর্হিভুত স্বর্ণ ও হীরার সন্ধান মেলে।