স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ৷
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে তাদের আনন্দ মিছিল শুরু হয় । মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার ঘুরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে ভাস্কর্যের নিচেই সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, করোনা মোকাবিলায় যখন সারা বিশ্ব হিমশিম খেয়েছে সেসময় বাংলাদেশ তার উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রেখে করোনা মোকাবিলা করেছে। এ জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে এখন এক ‘বিস্ময়’ ।
তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রেখে করোনা মোকাবিলা করা যায়। বাংলাদেশকে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত করে তুলেছেন, সেসময় একটি পক্ষের চুলকানি শুরু হয়েছে ৷ তারা ঘুমাতে পারে না। কারণ তারা সরকার হটানোর দিবা স্বপ্ন দেখেছে। কিন্তু তা এত সহজ নয়।
জয় বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস৷ সেই ইতিহাসের অংশ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন সেখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতা স্থান পাবে না ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, একটি দেশ তিনটি সূচকে উর্ত্তীর্ণ হলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করে। জাতিসংঘ ঘোষিত এই তিনটি রোডম্যাপ অর্জন করে আজকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ ছাড়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত আয়ের দেশের যে রূপরেখা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই চলার পথ মসৃণ করবেন ৷
সাদ্দাম বলেন, আজকে আমরা করোনা মহামারি মোকাবিলা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় সফল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ২০তম। আজকে আমরা যখন আনন্দ র্যালি করছি তখনও বিশ্বের ১৩০টি দেশে করোনার ভ্যাকসিন পোঁছায়নি। বাংলাদেশ এক দিনে যত মানুষকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসে পৃথিবীর আর মাত্র দুইটি দেশ বাংলাদেশের তুলনায় বেশি মানুষকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার সক্ষমতা দেখিয়েছে ৷ এটিই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে কত বেশি গৌরবান্বিত করেছেন ।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের গণজোয়ারে ভাসছে তখনই একদলের চুলকানি শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই করোনার মধ্যেই একটি অংশ বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণ করার পায়তারা করছে। কারা অভ্যন্তরে এক লেখকের মৃত্যু নিয়ে তারা এখন ইস্যু তৈরি করছে। মৃত ব্যক্তির পরিবার থেকে যেখানে কোনো অভিযোগ করা হচ্ছে না সেখানে রাজাকারের মদদপুষ্ট কিছু লোক রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা নাকি বিপ্লব করবে। বিপ্লবকে তারা ব্যবসাতে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশে বিপ্লব নিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারবেননা। আপনারা চেতনার জায়গা থেকে বিপ্লব করুন৷ কিন্তু কোনো ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিপ্লবের নামে মাঠ ঘোলা করার চেষ্টা ছাত্রলীগ সহ্য করবে না।’
লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধরণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাকিব হোসেন, মাহমুদুল হাসান তুষার, রানা হামিদসহ বিভিন্ন স্তরের প্রায় কয়েক শ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।