রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
এ নিয়ে তৃতীয়বার প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছানো হলো।
২ মার্চ মঙ্গলবার এই মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমার দিন ধার্য ছিল।
তবে তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান এ দিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ২১ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আসামি দিহানের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে, তবে রিপোর্ট পাইনি।
‘আমরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগকে ডিএনএ ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের জন্য তাগিদ দিয়েছি। প্রতিবেদন পেলে পর্যালোচনা করে দ্রুতই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’
দিহানের বিরুদ্ধে গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে ।
দিহান নিজেই ওই ছাত্রীকে ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি রাতে নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে ইফতেখার ফারদিন দিহানকে। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই রাতেই ফারদিন দিহানসহ চার জনকে আটক করে কলাবাগান থানার পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুধু দিহানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ জানুয়ারি দিহানের ডিএনএ টেস্টের অনুমতি দেন আদালত।
পরে ১৩ জানুয়ারি দিহান যৌনশক্তি বর্ধক কোনো ওষুধ ও মাদক সেবন করেছিল কি না তা পরীক্ষার অনুমতিও দেন আদালত।