একাত্তরের ২ মার্চ প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে একটি জাতিরাষ্ট্রের সূচনা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনসংলগ্ন বটতলায় ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝে সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকাটি উত্তোলন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) তৎকালীন সহসভাপতি আ স ম আবদুর রব।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সকালে পতাকা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে মুজিব শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সুযোগ পেয়েছি। অগ্নিঝরা মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সব গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ সংগঠিত হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা দেন। ৭ মার্চ শুধু বাঙালি জাতির জন্য মুক্তির ভাষণ নয়, এটি একই সাথে সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা।
‘এ কারণেই জাতিসংঘ ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। এভাবে ইতিহাস এবং দর্শনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।