রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাজরিন মোস্তফা মৌমিতার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করেছে তার পরিবার।
ঘটনার তিন দিন পর সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন তার বাবা।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র নিউজবাংলাকে বলেন, সোমবার রাতে মৌমিতার বাবা থানায় এসে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। তবে তারা বাড়িওয়ালার ছেলে ফাইজার ও তার বন্ধু আদনান এ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছেন। আদনানকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। এখন যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই এই মামলায় আদনানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মৌমিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করে তার ফুফা মো. হুমায়ন বলেন, এতে বাড়ির মালিকের ছেলে ফাইজার ও তার বন্ধুরা জড়িত থাকতে পারেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলে সত্য বেরিয়ে আসবে। ফাইজার দীর্ঘদিন ধরে মৌমিতাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।
ফাইজার বাসার ছাদে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতেন জানিয়ে তিনি বলেন, মৌমিতা পড়ালেখা শেষে মাঝেমধ্যে বিকেলে ছাদে উঠলেও তাকে উত্ত্যক্ত করতেন ফাইজার। মৌমিতার মা বিষয়টি ফাইজারের মাকে জানালে তিনি মৌমিতার মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বলেন- আমার ছেলের যা ইচ্ছা করবে; সেটা আমরা বুঝব।
মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন ১৯ বছর বয়সী মৌমিতা। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশেই ছিলেন তিনি। থাকতেন পরিবারের সঙ্গে ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায়।
মৌমিতা গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাততলা ভবনটির ছাদে ওঠেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিবার জানতে পারে, মৌমিতা ছাদ থেকে পড়ে গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতে রায়েরবাজার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।