বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিবর্তনমূলক আইন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়’

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২১ ১৮:৩২

শহিদ তাজুল দিবস উপলক্ষে পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গণসংগঠন, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহিদ তাজুলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নিবর্তনমূলক আইন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে অবাধ লুটপাটকে নিরাপদ রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

সোমবার বেলা ১১টায় স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের শহিদ তাজুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

শহিদ তাজুল দিবস উপলক্ষে পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গণসংগঠন, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহিদ তাজুলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেলিম বলেন, শহিদ তাজুল শ্রমিকশ্রেণির মুক্তিকে চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে তৎকালীন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামে নিয়োজিত হয়েছিলেন। এ সংগ্রামে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

তিনি বলেন, আজ কমরেড তাজুলের আত্মত্যাগের ৩৭ বছর পরও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার এবং মত প্রকাশের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের সংগ্রামে শহিদ তাজুল সর্বদাই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে বন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে সেলিম বলেন, এই সকল নিবর্তনমূলক আইন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে অবাধ লুটপাটকে নিরাপদ রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

এ সময় তিনি অবিলম্বে কারাবন্দি সাত ছাত্রনেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি সবার মুক্তির দাবি জানান।

সিপিবি সভাপতি আরও বলেন, তাজুলের মতো এক ঝাঁক শিক্ষিত তরুণ নিজের ব্যক্তিগত জীবন তুচ্ছ জ্ঞান করে সমষ্টির মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পরবে এটাই যুগের দাবি।

একটা শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইকে এগিয়ে নিতে তিনি তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, শহিদ তাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ পরিত্যাগ করে এ দেশের শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। বদলি শ্রমিকের কাজ নিয়ে আদমজী পাটকলে শ্রমিকদের সংগঠিত করেছিলেন। এরশাদ স্বৈরাচারের গুন্ডারা তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, তাজুল নিজের মতাদর্শগত চেতনায় এবং পার্টির নির্দেশে স্বৈরাচারবিরোধী হরতাল সফল করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। তার মৃত্যু এক মহান মৃত্যু।

উল্লেখ্য, তাজুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পাঠ শেষে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সিদ্ধান্ত অনুসারে শ্রমিকশ্রেণির মুক্তির সংগ্রামকে অগ্রসর করার জন্য আদমজী মিলে বদলি শ্রমিকের চাকরি নেন। তিনি ছিলেন সিপিবির আদমজী শাখার সম্পাদক ও আদমজী মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।

১৯৮৪ সালের ১ মার্চ দেশব্যাপী শিল্প ধর্মঘট ও হরতালের সমর্থনে আগের দিন মধ্যরাতে আদমজী জুটমিল এলাকায় তাজুলের নেতৃত্বে শ্রমিকরা প্রচার মিছিল বের করলে তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের গুণ্ডাবাহিনীর হামলায় তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন শ্রমিক মারাত্মক আহত হন।

১ মার্চ ভোরবেলা গুরুতর আহত অবস্থায় তাজুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

এ বিভাগের আরো খবর