আগামীকাল মঙ্গলবার বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ। নগরীতে বেলা ২টায় তাদের এই সমাবেশ হওয়ার কথা। অথচ নেতারা সোমবার বিকেল ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানেন না কোন স্থানে তারা সমাবেশ করবেন। তবে পুলিশ বলছে, সমাবেশস্থল সম্পর্কে বিএনপিকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি শহরের মধ্যে রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এসব এলাকায় সমাবেশ করলে মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। তীব্র যানজট দেখা দেবে। এ জন্য শহরের মধ্যে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা বলেছি ইনডোরে সমাবেশ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানসংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। তারা যেন প্রস্তুতি নিতে পারে সে জন্য মৌখিকভাবে আগাম তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হচ্ছে। তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।’
তবে ইনডোরে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শহরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর, সোনাদিঘী বা গণকপাড়া এলাকায় সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছি। কোথায় অনুমতি দেয়া হচ্ছে সেই চিঠি এখনও পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
বুলবুল বলেন, ‘সমাবেশ করতে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। সকাল থেকে হঠাৎ রাজশাহী থেকে দেশের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমাবেশের আগে এর আগেও এ রকম করা হয়েছে। এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে পারে। এটি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা।’
এর আগে বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ করব। পুলিশের কাছে কয়েকটি জায়গার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।’