বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জীবনের সেই সময়টা ছিল অত্যন্ত চমৎকার’

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২১ ১৩:৩২

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই বিমা কোম্পানিতে থাকার ফলে মানুষকে সচেতন করতে পেরেছিলেন তিনি। কোম্পানির কাজে ঢাকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ পেতেন বঙ্গবন্ধু। এ বিমাশিল্পে আমাদের দলের বহু লোককেই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।’

বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। এ কারণে ছোটবেলা থেকেই তার সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাইবোনদের।

১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক আইন জারির সময় রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় তিন বছর বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল শেখ হাসিনার।

জাতীয় বিমা দিবসের অনুষ্ঠানে সোমবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে সেই ঘটনারই স্মৃতিচারণা উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার মুখে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছরের মতো বন্দি ছিলেন তিনি। হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। সে সময় রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঢাকার বাইরে যেতে হলে থানা বা ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের অনুমতি নিয়ে যেতে হতো। এ সময় একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বাংলাদেশ প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বলতে গেলে আমাদের জীবনের সেই সময়টা অত্যন্ত একটা চমৎকার সময় ছিল। কারণ, আব্বা নিয়মিত চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন, ভালোভাবে থাকার সুযোগ হচ্ছে।

‘সে সময় ধানমন্ডির জায়গাটায় দুটি কামরা তৈরি করেন আমার মা এবং ১৯৬১ সালের শেষের দিকে আমরা সেখানে চলে আসি। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত একটা চমৎকার সময় ছিল। কিন্তু ১৯৬২ সালে আবার গ্রেপ্তার হন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলফা ইনস্যুরেন্সে চাকরির সুযোগে সারা দেশে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। রচনা করেন বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা।’

তিনি বলেন, ‘ওই বিমা কোম্পানিতে থাকার ফলে মানুষকে সচেতন করতে পেরেছিলেন তিনি। কোম্পানির কাজে ঢাকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ পেতেন বঙ্গবন্ধু। এ বিমাশিল্পে আমাদের দলের বহু লোককেই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।

‘আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিকে বলে তাজউদ্দীন সাহেবকে সেখানে নিয়ে আসেন তিনি। সেই সঙ্গে আনেন মোহাম্মদ হানিফকেও। এখানে বসেই কিন্তু ছয় দফা রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কাজেই এটা শুধু একটা বিমা কোম্পানিই নয়, আমাদের রাজনৈতিক জীবনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।’

এ বিভাগের আরো খবর