বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার মাদক মামলায় ইরফান সেলিমের অব্যাহতি

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২১ ১১:২৪

ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলায় তার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পুলিশ। তবে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

অস্ত্র আইনের মামলা থেকে অব্যাহতির পর এবার মাদকের মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম।

এ মামলায় পুলিশের দেয়া অব্যাহতির সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাহীনুর রহমান এই আদেশ দেন।

গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র মামলায় ইরফানকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। একই থানার মাদক মামলায়ও তার অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন এই তদন্ত কর্মকর্তা।

ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকালই প্রতিবেদনটি আদালতে গ্রহণ করেছে। তবে আদালত আজ (১ মার্চ) আদেশ দিয়েছে।’

হাজি সেলিমপুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইরফান গত বছরের ২৫ অক্টোবর ধানমন্ডি এলাকায় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধর করে আলোচনায় আসেন।

ওই দিন মোটরসাইকেল আরোহী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে ধাক্কা দেয় ইরফানের গাড়ি। এরপর পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন ওয়াসিফ।

তখন গাড়ি থেকে নেমে ইরফান ও তার সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে ওয়াসিফকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গালিগালাজ করা হয় ওয়াসিফের স্ত্রীকেও।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।

ওই দিনই পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায় র‌্যাব। আটক করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে।

ওই ভবন থেকে দুটি অবৈধ পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া, বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করার কথা জানায় র‌্যাব।

মদ আর ওয়াকিটকির জন্য ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কারাগারে পাঠানো হয় ইরফানকে। বরখাস্ত করা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকেও।

২৮ অক্টোবর র‌্যাব-৩-এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।

এর মধ্যে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী চকবাজার থানার চার মামলার মধ্যে মাদক ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দেয়া হলো।

এখন বাকি রইল ধানমন্ডি থানায় নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফের করা একটি মামলা এবং চকবাজার থানার দুই মামলা।

এর মধ্যে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় সম্প্রতি ইরফানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর