মেডিক্যাল ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত আহ্বান জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।
রোববার ‘উন্নয়নশীল দেশসমূহে পৌর ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’শীর্ষক দুই দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ওয়েস্টসেফ-২০২১ শেষ দিনে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে ভার্চুয়ালি হয় সম্মেলনটি। এ সময় তিনি ‘পলিউটার্স পে প্রিন্সিপাল’ গ্রহণসহ ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থপনার জন্য সর্বস্তরে বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার, পুনরুদ্ধার, পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং পুনরুৎপাদনে চর্চা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে (ডিসি) উত্তরণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে টাইম ফ্রেম নির্দিষ্ট করে এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আবাসন ভাসানচরে স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরুতেই নিশ্চিত করতে হবে।
উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে পৌর ও মানব বর্জ্য বিষয়ে গবেষণার ব্যাপ্তি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, সবার জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করা এবং এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সার্কুলার ইকোনমির ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ পৌর ও মানব বর্জ্য এবং ওয়েস্ট ওয়াটারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং সরকারি পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নেয়া উদ্যোগগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কৌশল, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, কারিগরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে সপ্তমবারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওয়েস্টসেফ-২০২১ এর আয়োজক কুয়েট, জার্মানির ওয়েমার বা’হস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে জার্মানির ওয়েমার বা’হস বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক একার্ড ক্রাফ্ট, ইতালির প্যাডোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রাফায়েলো কসু, অধ্যাপক মারিয়া ক্রিস্টিনা লাভাগনলো, ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাধন কুমার ঘোষ, নেপালের ড. নওরাজ খতিওয়াদা, বাংলাদেশের অধ্যাপক কিএইচস বারী, প্রফেসর খন্দকার মাহবুব হাসান, অধ্যাপক রাফিজুল ইসলাম এবং ড. খালিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।