ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ এর বিরুদ্ধে কারা অপপ্রচারে নেমেছে, সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে একটি মানববন্ধনে। এর পেছনে অন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সম্পৃক্ততা আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের মানববন্ধনে এসব জানানো হয়।
সম্প্রতি নগদ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সারা দেশে ব্যাপকহারে অপপ্রচার চালানোর তথ্য মিলেছে। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১৮ ফেব্রুয়রি অন্তত ১০ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেছে নগদ।
মামলায় বলা হয়, ‘একটু ভেবে দেখবেন কি’ শিরোনামে লিফলেটটিতে ‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য যুক্ত করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রতিহিংসার কারণে একটি চক্র ভুয়া খবর রটিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
মামলাটি করেছেন নগদের লিগ্যাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তার জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক মইনুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মানববন্ধনে দাবি করা হয়, বাজারে প্রতিযোগিতার মুখে সরকারি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের বিরুদ্ধে লিফলেট ছড়ানো হচ্ছে। আর এর পেছনে বিকাশের পাশাপাশি নেত্রনিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিলের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এই অপপ্রচারের পেছনে অন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না সে প্রশ্নও তোলা হয়।
ওই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের পর থেকে চার বছরে মুনাফা ছিল যথাক্রমে ২৪ কোটি, ৩৪ কোটি, ৪৮ কোটি ও ১৯ কোটি টাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৯ সালে ৬৩ কোটি টাকা লোকসান দেয়।
সমাবেশে দাবি করা হয়, শুধু সেন্ড মানি ও বিল- পে সেবা থেকেই কোম্পানিটির বছরে আয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। আর এ কারণে তাদের লোকসান সন্দেহজনক।
মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছি, বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছি যে, এটির একটা তদন্ত করে দেখা হোক।’