প্রযুক্তির যুগে তরুণদের অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে তালিকাভুক্ত হওয়া উপলক্ষে শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ আইন বিষয়েও কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল দেশ যখন করেছি, নিরাপত্তার দায়িত্বও আমাদের। তরুণরা যাতে অসামাজিক কার্যকলাপ বা জঙ্গিবাদে যুক্ত না হয়, এ জন্যই এই আইন অপরিহার্য। যারা সমালোচনা করার, তারা করবেই। কিন্তু বাস্তবতা তারা কি উপলব্ধি করছে?’
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এই আইনে গত বছরের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মারা যান। এরপর থেকে আইনটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মৃত্যুর আগে ছয়বার আবেদন করেও জামিন হয়নি মুশতাক। তার সঙ্গে ছয়বার আবেদন করা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরেরও জামিন মেলেনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের হয়রানির ব্যাপারটিও সবার নজরে এসেছিল।
আইনটি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারও মৃত্যু কাম্য নয়, কিন্তু মৃত্যু কেন্দ্র করে কোনো অশান্তিও কাম্য নয়।
‘৩ নভেম্বর জেলের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, এমন কোনো ঘটনা তো এখনও ঘটেনি। আজ যারা সমালোচনা করছে, তারাও একসময় হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। এখন কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে।’