বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আল জাজিরা নিয়ে কিছু বলার নেই: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১১

আল জাজিরার রিপোর্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, বলারও কিছু নেই। একটা চ্যানেল কী করছে না করছে, সেটা দেশবাসী বিচার করে দেখবে। দেশের মানুষ বিচার করবে এটা কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা, কতটুকু বানোয়াট, আর কী উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে।’

কাতারের আল জাজিরা চ্যানেলে সম্প্রতি সম্প্রচারিত বাংলাদেশ-সম্পর্কিত ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ প্রতিবেদন ইস্যুতে নিজের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে তালিকাভুক্ত হওয়া উপলক্ষে শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

আল জাজিরার রিপোর্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, বলারও কিছু নেই। একটা চ্যানেল কী করছে না করছে, সেটা দেশবাসী বিচার করে দেখবে। দেশের মানুষ বিচার করবে এটা কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা, কতটুকু বানোয়াট, আর কী উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে।’

১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সম্প্রচার করা প্রতিবেদনটি করা হয় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে। সম্প্রচারের পর থেকেই প্রতিবেদনটি নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

এই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘উদ্দেশ্যমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।

প্রতিবেদনটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীকে আমি বলব, চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। এইগুলা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী এটা করছে। এটা হলো বাস্তবতা।

‘কোন চ্যানেল কী বলল না বলল, ওটা শুনে তো আমার রাজনীতি না। দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, সেটাই আমার রাজনীতি। যা বলতে থাকবে তা বলতে থাকুক। বলাটাই তো তাদের কাজ আর জনগণের কাজ করাটা আমাদের কাজ।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। একটা দেশের রাষ্ট্রপতি শুধু না একটা গোটা পরিবারকে, একটা ছোট শিশুকে হত্যা করেছে। সেই খুনিদেরকে কিন্তু ইনিডেমনিটি দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে চাকুরি দেয়া হয়েছে। তাদের নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। জনগণের ভোট চুরি পার্লেমেন্টে বসানো হয়েছে। যারা এটা করেছে তাদের সম্পর্কে আপনাদের কী ধারণা।’

‘আমি সন্তান হিসেবে যখন সরকারে আসলাম তখন আমি আমার বাবা মায়ের হত্যার বিচার করেছি। ইনডেমনিটি বাতিল করে দিয়ে বিচার হয়েছে।’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধপরাধী যারা এ দেশের নারী ধর্ষণ করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, লুটপাট করেছে, যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিল, ৭৫ জাতির পিতার হত্যার পর জিয়াউর রহমান তাদেরকে মুক্ত করে মন্ত্রী উপদেষ্টা বানিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ছাড়া দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলা এ ধরনের বহু মামলার বিচার হয়েছে। যাদের বিচার হয়েছে আর সাজাপ্রাপ্ত তারা তাদের দোসর তাদের পরিবার তারা কী চুপ করে বসে থাকবে। তাদেরও কিছু আমরা দেখি। তাদেরও কিছু ইন্ধন আছে।

‘এ ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে তো অদ্ভুত একটা সংস্কৃতি দেখা যায় যে, আল্ট্রা লেফট আর আল্ট্রা রাইট সময় সময় এক হয়ে যায়। আমাদের অপরাধ কী সেটাই আমার বড় প্রশ্ন।’

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, জাতির পিতাকে হত্যা করেছে এবং দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে তৎপর তারাই দেশবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে তারা কীভাবে বাংলাদেশের উন্নতি মানবে। যারা এই দেশটাকে অস্ত্র চোরাকারবারি, দুর্নীতি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিল তারা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করবে না কীভাবে বলেন। তারা এটা মানতে পারে না। তাদের তো চেষ্টায় থাকবে তারা কীভাবে বাংলাদেশের বদনাম করবে, দুর্নাম করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর