ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক সাতজনকে এক দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদেশ দেন বিচারক।
গ্রেপ্তার সাত শিক্ষার্থীকে শনিবার আদালতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মোর্শেদ আলম মামুন ভুঁইয়ার এজলাসে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।
আটক সাত শিক্ষার্থী হচ্ছেন তামজিদ হায়দার, নজির আমিন চৌধুরী জয়, এ এস এম তানজিমুর রহমান, আকিব আহম্মেদ, আরাফাত সাদ, নাজিফা জান্নাত ও জয়তী চক্রবর্তী।
এর মধ্যে আরাফাত বাম ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফ্রন্টের কর্মী। বাকিরা ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আদালতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মন্টু ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন আইনুননাহার সিদ্দিকা, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, পারভেজসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো মশাল মিছিল বের করে। সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা জানান, মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু করে শাহবাগ এলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আটক করা হয় সাতজনকে।
পরে এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে আটক শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এসআই মিন্টু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও গুরুতর আহত করা, ভীতিকর পরিবেশ তৈরি, যান চলাচলে বাধা দেয়া ও সরকারি মালামাল নষ্ট করার মতো অভিযোগ আনা হয়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল তারা সারা দিন তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। পরে আবার রাতে বিশাল মিছিল নিয়ে এলে ঊর্ধ্বতন স্যাররা তাদের ফিরে যেতে বলেন। এ সময় তারা উগ্র ভাষায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা মশাল ছুড়ে মারলে আমাদের একজন পুলিশ কনস্টেবলের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে আগুন ধরে যায়। পরে তারা অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমাদের ১৫ জন আহত হন।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশীদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।