স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুখবর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাস সংকটের কারণে এবারের সংবাদ সম্মেলন অন্যবার থেকে অনেকটা আলাদা। গণমাধ্যমকর্মীরা আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে, আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হয়েছেন সরকারপ্রধান। পাশে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহেনা।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় মূল্যায়ন শেষে শুক্রবার রাতে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের শর্ত পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
এ খবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে এবার বাংলাদেশের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হবে। এ পর্ব শেষে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে ওঠার সব প্রক্রিয়া শেষ হবে।
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম ওঠাতে মাথাপিছু আয় ধরে রাখতে হয় ১ হাজার ২৩০ ডলার, সেখানে গত বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২০ ডলার।
মানব উন্নয়নসূচকে পয়েন্ট থাকতে হয় ৬৬, বাংলাদেশের আছে ৭৫.৩ পয়েন্ট। আর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার সূচকে মান থাকতে হয় ৩২ বা তার কম। এই সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৫ দশমিক ২।
সিডিপির বৈঠকের আগেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাসহ বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, মোটামুটি নিশ্চিত, দ্বিতীয় দফায়ও এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। তাই হলো।