ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগের মশাল মিছিল থেকে আটক সাতজনের আদালতে নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মোর্শেদ আলম মামুন ভুঁইয়ার এজলাসে বিকেলে তাদের জামিন শুনানি হওয়ার কথা আছে।
আটক সাত শিক্ষার্থী হচ্ছেন, তামজিদ হায়দার, নজির আমিন চৌধুরী জয়, এ এস এম তানজিমুর রহমান, আকিব আহম্মেদ, আরাফাত সাদ, নাজিফা জান্নাত ও জয়তী চক্রবর্তী।
এর মধ্যে আরাফাত বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্রফ্রন্টের কর্মী। বাকিরা ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আদালতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী মন্টু ঘোষ। সঙ্গে থাকবেন আইনুননাহার সিদ্দিকা, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, পারভেজসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাম ছাত্র সংগঠনগুলো মশাল মিছিল বের করে। সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জানান, মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু করে শাহবাগ এলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ বেশ কয়েকজন আহত হন। আটক হন সাতজন।
পরে এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে আটক শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এসআই মিন্টু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও গুরুতর আহত করা, ভীতিকর পরিবেশ তৈরি, যান চলাচলে বাধা দেয়া ও সরকারি মালামাল নষ্ট করার মতো অভিযোগ আনা হয়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল তারা সারাদিন তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। পরে আবার রাতে বিশাল মিছিল নিয়ে আসলে উর্ধ্বতন স্যাররা তাদের ফিরে যেতে বলেন। এ সময় তারা উগ্র ভাষায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা মশাল ছুড়ে মারলে আমাদের একজন পুলিশ কনস্টেবলের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে আগুন ধরে যায়। পরে তারা অতর্কিত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে আমাদের ১৫ জন আহত হন।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশীদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।