পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনেও সরকার হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শনিবার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
পঞ্চম ধাপে রোববার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে নির্বাচন হবে ৩০ পৌরসভায়।
কাদের বলেন, ‘আগামীকাল পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধাপের মতো আগামীকালের নির্বাচনেও সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।’
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কাদের বলেন, ‘তৃণমূলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থিতাসহ অন্যান্য বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা এরই মধ্যে জেলায় পাঠানো হয়েছে।
‘প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটি সভা করে এক থেকে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দলের ইউনিয়ন কমিটির রেজ্যুলেশন বা লিখিত সুপারিশ উপজেলা ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরসহ ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুপারিশ করা নাম যাচাই-বাছাই ও বিভিন্ন জরিপ শেষে দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
‘কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না।’
এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘রক্ত দিয়ে অর্জিত এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আজকের উগ্র সাম্প্রদায়িকতার উৎসমুখ জিয়াউর রহমানই উন্মুক্ত করেছিলেন।’
কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি ‘জয় বাংলা’কে করেছিলেন নিষিদ্ধ। স্বাধীনতার পরে তার ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেন।”
তিনি বলেন, ‘একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতির কারণে ইতিহাস জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।’
জিয়ার সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনিই খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন।
‘খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক।’